মহেশখালীতে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ মামলার আসামি নিয়ে ইউএনও হেদায়েত উল্যাহ’র সার বিতরণ, নিরেপক্ষতা নিয়ে প্রশ্নঃ

৮ অক্টোবর গতকাল মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হেদায়েত উল্যাহ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মামলার ৩১ নম্বর আসামি, পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ডেবিল গিয়াস উদ্দিনকে (লাল বৃত্ত চিহ্নিত) সঙ্গে নিয়ে সার বিতরণ করেন। উত্তর ঘোনাপাড়ার বাসিন্দা আহমদ হাম্বল (আহমদ কামাল) প্রকাশ দফদারের পুত্র গিয়াস উদ্দিন কক্সবাজার সদর থানায় রুজু হওয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মামলা ৭১৭/২৪ নং মামলার অন্যতম আসামী। 
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এলাকার মানুষ ও জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাত্র- নেতাদের মধ্যে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। 

জানাযায়, গতকাল বুধবার মহেশখালী উপজেলা কৃষি অফিস ২৫/২৬ অর্থ বছরে রবি মৌসুমে আগাম শীতকালীন শাক সবজি (বসতবাড়ি ও মাঠ) আবাদের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে এঘটনা ঘটে। 
মামলার বাদী মোহাম্মদ হাসেম জানান, আমি অবাক হয়েছি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মামলার অন্যতম আসামী গিয়াস উদ্দিনকে প্রশাসনের সর্বোচ্চ ব্যক্তি ইউএনও‘র সাথে সার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেখে। আমার ভয় হচ্ছে এভাবে আসামীদের প্রশাসন আশ্রয় প্রশ্রয় দিলে আমরা যাব কোথায়? আমরা এমনিতেই ভয়ে আছি। তার মধ্যে প্রশাসনের এই আচরণে আমি বাকরুদ্ধ। উর্ধতন প্রশাসনে আমি এবিষয়ে অবহিত করব। 

জেলার কয়েকজন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, মহেশখালী উপজেলা ইউএনও — যিনি সরকারি ক্ষমতার প্রতীক — তাকে (গিয়াসকে) সঙ্গে নিয়ে আসা মানে যে কোনো তদবির শক্তি প্রদর্শন করা। সেই সঙ্গে তারা দাবি করেছেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও ভবিষ্যৎ বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

জেলার সমন্বয়ক জুলাই যোদ্ধা মোহাম্মদ আলী বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মামলার আসামী উপজেলার প্রোগ্রামে যাবে, তাও আবার সদরে, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায়না। এটা জুলাই যোদ্ধার রক্তের সাথে বেইমানী। বিষয়টা আমরা খতিয়ে দেখব।
এই ঘটনার মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে, এবং দাবী উঠেছে—প্রশাসন যেন বিচারের প্রক্রিয়ায় পক্ষপাতহীন থাকে।

মহেশখালী থানার একটি সূত্র বলছে,“আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো, যদি অভিযোগ সত্যি হয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এবিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মহেশখালী পৌর প্রশাসক হেদায়েত উল্যাহ বলেন, আমাদের একাধিক সরকারি প্রোগ্রামে অংশ নিতে হয়,তাৎক্ষনিক কার কি পরিচয় বা কে কি ধরনের কাজে জড়িত তা বুঝে উঠার সুযোগ থাকেনা। আর কৃষি বিভাগের অনুষ্টানে উল্লিখিত ব্যক্তি কি ক্যাটাগরিতে এসেছে তা খতিয়ে দেখা হবে।